পাবনার চাটমোহরের দিঘলীয়া গ্রামে লাবনী খাতুন নামের এক গৃহবধূকে তার শিশু সন্তানসহ হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাদের লাশ আলাদা জায়গায় দেখতে পাওয়ার পরে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
দুই পা একসঙ্গে বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো লাবনীর লাশ পড়েছিল তাদের গোয়ালে। আর তার ১০ বছরের ছেলে রিয়াদের লাশ গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল বাড়ির কিছুটা দুরে পুকুরপাড়ের একটি গাছে।
এদিকে মা আর শিশু ছেলেকে কেন হত্যা করা হয়েছে, খুনের সঙ্গে জড়িত কারা- সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় জনমনে। পুলিশও এ জোড়া হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্তে তৎপর রয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি। লাবনীর স্বামীর নাম আ. রশিদ। তিনি মালয়েশিয়া থাকেন।
উপজেলার সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি দিঘলীয়া গ্রামটি ফৈলজানা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। শুক্রবার সকাল দশটার দিকে ওই ওয়ার্ডর মেম্বর মো. নান্নু মুঠোফোনে বলছিলেন, বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা (লাবনী)। তাদের একটি মেয়ে আছে ১৪ বছর বয়সী। বাড়ির পাশে একটা হাফজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে, তাই রাতেও সে সেখানেই থাকে। আরেকজন বৃদ্ধা- লাবনীর শাশুড়ি থাকেন বাড়িতে, তিনি চোখে খুব একটা দেখতে পারেন না। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমাতে যায় তারা, সকালে এ অবস্থা। আসলে কেন এ হত্যাকান্ড, সেটা বলা যাচ্ছে না। লাবনীর স্বামী মালয়েশিয়া থাকে আনুমানিক ৫-৬ বছর। তার বাড়িতে ছাদ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ওদিকে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আ. রশিদের এক প্রতিবেশি লাবনীদের বাড়িতে যায়। বাড়ির ভেতরে কাউকে দেখতে না পেয়ে তিনি ঘরে ঢোকেন, দেখতে পান- ঘরের ভেতরে সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। তখন ডাকাডাকি করে লাবনী এবং রিয়াদকে খোঁজার একপর্যায়ে লাবনীকে গোয়ালের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচানো এবং পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনসহ খোঁজাখুঁজি করে রিয়াদকেও পুকুরপাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ দুইটির সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে।
চাটমোহর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত চলমান আছে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে