ঘুরেফিরে কমতির দিকে রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জানুয়ারী ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে দেশ ডলার সংকটে ধুকছে। এ সংকট কাটিয়ে ওঠার অন্যতম পথ রেমিট্যান্স রপ্তানি আয় বাড়ানো। কিন্তু সেটাও আশানুরূপ হচ্ছে না। উপরুন্ত আমদানির খরচ মেটাতে প্রতিদিন ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। ফলে ঘুরেফিরে কমতির দিকেই থাকছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় (রিজার্ভ)। জানুয়ারি পরবর্তী  ২১ দিনে রিজার্ভ কমে গেছে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার।

৩ জানুয়ারি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। এরপর ২১ দিন শেষে সেটা দাঁড়িয়েছে হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে চিত্র পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, বাজারেস্থিতিশীলতাআনতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলতি মাসে আকুর বিল পরিশোধ হয়েছে। আর রপ্তানি রেমিট্যান্স প্রবাহও কম। ফলে রিজার্ভ কমছে। চলতি অর্থবছরে গেল ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দশমিক বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় হাজার ৫৩৩ কোটি ডলার। কিন্তু বিপিএম- ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এখন হাজার কোটি ডলার। এর কারণ বিপিএম- মেথডের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের ৫২১ কোটি (.২১ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য থাকে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২১ দিনে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১৭৭ কোটি ডলার আর বিপিএম- মেথডে কমেছে ১৭২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম- অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এ গ্রস রিজার্ভের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব আছে। এটা আইএমএফকেই কেবল দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না।

সাধারণত কমপক্ষে মাসের আমদানি খরচের রিজার্ভ থাকতে হয় একটি দেশে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিট রিজার্ভের যে তথ্য আইএমএফ’র বাইরে প্রকাশ করে না, সেটা এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর