জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত ও ৪০ জনের মতো আহত হয়েছে। দেশটির সিরিয়া সীমান্তবর্তী একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর এ হামলা ও হতাহতের রেশ ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা সামনে এসেছে। এ অবস্থায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটা মার্কিন সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রাণঘাতী কোনও হামলা। হামলার পরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র তার সৈন্যদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ওদিকে হামাসের সঙ্গে দলখদার ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতের পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনাকে এ হামলা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওদিকে পেন্টাগনে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে অস্টিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) ও আমি মার্কিন বাহিনীর ওপর কোনও ধরনের হামলা সহ্য করব না। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের সৈন্যদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবো আমরা।’
ওদিকে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতি তারা আর বাড়াতে চান না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানও যুদ্ধ চায় না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবশ্যই আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা দেখতে পাচ্ছি না, ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করতে চায়। পেন্টাগন বিশ্বাস করে ইরান নিজেও যুদ্ধ চায় না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলছেন, হামলার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তার বিকল্প নিয়ে কাজ করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে