সবজি কিনতেও হাঁপিয়ে উঠছে ভোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কাজাবাজারে শীতকালীন শাক-সবজির অভাব নেই। শিম, কপি বেগুনসহ নানা সবজিতে বাজার ভরপুর। তারপরও সবজি কিনতে হাঁপিয়ে উঠছেন সাধারণ ভোক্তারা। বিশেষ করে যাদের আয় সীমিত ও নির্ধারিত, তারা। ভোক্তাদের ভাষ্যমতে- মুলা, পেঁপে শালগম ছাড়া বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ওদিকে বাজারে চাল-ডালসহ দৈনিককার খাবার তালিকার অন্যান্য পণ্যের দামও চড়া। এ অবস্থায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা।

নতুন সরকার গঠনের পর পরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু এখনো তার সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ে তাদের মধ্যে চাপা হতাশা আর ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

শুক্রবার ( ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার একাধিক বাজারের তথ্য বলছে,  প্রতি পিস ফুলকপি এবং বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো ৫০-৭০ টাকা, শিম ৬০-৮০ টাকা বেগুন ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যতম সবজি আলুর কেজিও বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০-৭০ টাকা দরে।

 

কেজি প্রতি বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০ ও শসা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে লাউয়ের পিস ৫০-৮০ টাকা। তবে তুলনামূলক সবচেয়ে কম দাম ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মুলা পেঁপের কেজি।  শাকের আঁটি লালটা ১৫-২০ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ডাঁটা শাক ২০ টাকায় হয়েছে।

 

ক্রেতাদের একটা অংশ বলছেন, সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় শুক্রবার বাজারে দাম বেশি থাকে। তাদের মতে, এদিনে চাকুরেরা বাজারে আসেন। ফলে চাহিদা বেশি থাকে। ব্যবসায়ীরাও দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। কী করা, বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। তাই বেশি দামেই কিনে আনতে হয়েছে। বিক্রিও করছেন বেশি দামে। দাম কমলেও যে লাভ, বাড়লেও সেই লাভই হয় তাদের। ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে বিক্রি করি, বিষয়টা রকম নয়। বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।

 

বিক্রেতারা আরও জানান, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। শুক্রবারে ব্যস্ত মানুষের অধিকাংশই সাপ্তাহিক বাজার করেন। কারণে এদিনে চাহিদা অনেক বেশি থাকে বলেও জানান তারা।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর