পরকীয়া প্রেমিকার পিছু না ছাড়ায় প্রাণ হারালেন টাবুল বর্মণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পঞ্চগড়ে টাবলু বর্মণ ও নরুল ইসলাম হত্যার জট খুলেছে পুলিশ। নিখোঁজের পর তাদের লাশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ জট খুলতে পারক্ষমতা দেখায় পুলিশ।

 

পুলিশ বলছে, টাবুল বর্মণ খুন হয়েছেন পরকীয়ার জেরে আর অটোরিকশাচালক নুরুল ইসলাম খুন হয়েছেন ছিনতাইকারী চক্রের হাতে।

 

শনিবার ( ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য দেন। গত কয়েকদিন ধরে তারা দুজনেই নিখোঁজ ছিলেন। সাধারন ডায়েরি রয়েছে সংশ্লিষ্ট থানায়। বিভিন্ন সোর্স তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার ( ফেব্রুয়ারি) পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, ললিতা রানী নামের এক নারীর সঙ্গে টাবুল বর্মনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। একপর্যায় ললিতা রানী সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার চেষ্ঠা করে। কিন্তু টাবুল তার পিছু ছাড়েনি । তাই টাবুলকে শিক্ষা দিতে ললিতা রানী ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করে রফিকুল মন্তাজ আলীকে।

 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ললিতা রানী টাবুলকে সদর উপজেলার হারিভাসা বাজারে আসতে বলেন। সেখান থেকে ললিতার জামাই প্রভাস মোটরসাইকেলে ডোলোপাড়া নিয়ে যায়। সেখানে আম গাছের বড় বাগানে টেনে হিছড়ে ভিতরে নিয়ে টাবুলকে কুড়াল দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে।

 

এরপর বাঁশ বাগানের ভিতরে ড্রেনে পুঁতে রাখে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ললিতা রানীকে আটক করে। তার কাছে থেকেই এ তথ্য পাওয়া যায়।

নরুল ইসলাম হত্যকান্ড প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, মারেয়া বাজার থেকে নুরুল ইসলামের অটো রিকশা ভাড়া করে আলমসহ তার ভায়রা জালাল। পরে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদীর সাঁওতালপাড়া ঘাট এলাকায় রশি গামছা দিয়ে নুরুলের হাত-পা মুখ বেঁধে হত্যা করে।

 

এরপর নদীতে ফেলে রেখে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায় তারা। আলম ও জালাল অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্য।এ ঘটনায় আলমকে আটকের পর তার কাছে থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

 

দুটি হত্যাকান্ডে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।। নুরুল ইসলামে জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের কাউয়া খাল মাঝিয়ারী এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে।

 

টাবুল বর্মন পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকার মৃত ভগিরাম বর্মণের ছেলে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর