রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম চালু হতে পারে চলতি বছরের শেষ নাগাদ। আর পরের বছর চালু হবে দ্বিতীয় ইউনিট। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৪০০ মেগাওয়াট।
পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির পর কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এ প্রকল্প। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে রাশিয়া। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছে। এখন রি-কমিশনিং স্টেজ চলছে। একইসঙ্গে চলমান আছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ। রি-কমিশনিং স্টেজের মধ্যে দিয়ে আরও তিনটি ধাপ শেষ করলে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।
১৯৬১ সালে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে হার্ডিঞ্জ সেতুর কাছাকাছি পদ্মা নদীপাড়ে এ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে নানা জটিলতায় আর সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সে প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটির ভিত্তিস্থাপন করা হয়। ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রসাটমের সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি করে শেখ হাসিনার সরকার।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হয় ইউরেনিয়াম আনার প্রক্রিয়া। এরপর সাতটি ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়ামের অ্যাসেম্বলি পৌঁছায় এ কেন্দ্রে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে