আড়াই মাসেও পাওয়া যায়নি স্থলবন্দরে আটক পণ্যের কাগজপত্র

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আড়াই মাসেও পাওয়া যায়নি পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আটক একটি কোম্পানির বেশ কয়েকটি পণ্যের কাগজপত্র। প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক কাগজপত্র চেয়ে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি তারা। এ অবস্থায় আগের কাগজপত্রে অর্থের বিনিময়ে রপ্তানির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, রপ্তানিতে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর পলেস্টার মিক্স শার্টিং ফেব্রিক হাজার ৮২২ ৮৫৪ কেজি পলেস্টার ফেব্রিক কুইলট আটক করা হয়। নেপালে রপ্তানির উদ্দেশ্য দর্জি এপারেল বাংলাদেশ, তুরাগ ঢাকা। পলেস্টার মিক্স শার্টিং ফেব্রিক পলেস্টার ফেব্রিক কুইলট পণ্য এর সিএন্ড এফ ত্বা-সীন ট্রেড লিংক পঞ্চগড়ের পণ্যবাহী ট্রাক কাস্টমস ছাড়পত্র ছাড়া বেরিয়ে যায়। পরে ট্রাকটি ফের বন্দরে নেওয়া হয়। পরে পণ্য চালান দেখে দুইটি আইটেমে মেড ইন চায়না পাওয়া যায়। এতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তার দাখিলকৃত দলিল সঠিক না পাওয়ায় শুল্কায়ন কার্যত্রম বন্ধ করে। দুইটি আইটেমের দলিল ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়। ৪ ডিসেম্বর দর্জি এপারেল বাংলাদেশ এর পক্ষে সজীব, উপ-কমিশনার বরাবরে ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন।

কয়েকজন রাজস্ব কর্মকর্তা দর্জি এপারেল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি মোমিনুর ইসলামের উপস্থিতিতে পণ্য চালান পরীক্ষা করে প্রতিবেদন তৈরি করেন। এর কিছু কাগজপত্র প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এতে কুইলট ফেব্রিক ৮৫৪ কেজি,শার্টিং ফেব্রিক হাজার ৮২২ কেজি দুই আইটেমের মোড়কে উৎপাদিত দেশ চায়না। মেনস জ্যাকেট ৭৯ পিচ এর ডিজাইনে ইউরোপ লিখা ছিল।

পণ্য দুটি চীন হতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক করসহ রপ্তানি পর্যায়ের ঘোষিত মূল্য অনেক কম। রপ্তানিকারক পণ্যচালানটি চোরাচালানের উদ্দেশ্য আশ্রয় নেয়। এটা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ধারা -()() লঙ্ঘন। তারা আরো সুপারিশ করে কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০ এর বিধি -২০ এর ,,, এর সুস্পষ্ট লংঘন এবং একই বিধিমালার বিধি ২৩ ()এর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দর্জি এপারেল বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্ট ত্বা-সীন ট্রেড লিংকের মোমিনুর রহমান জানান, কাগজপত্র কিছু কম থাকার কারণে পণ্যগুলো রপ্তানির জন্য আটকে আছে। কয়েকদিনের মধ্যে সঠিক কাগজ জমা দিয়ে পণ্য রপ্তানি করা হবে।

বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, পণ্যগুলো কাস্টমস তত্বাবধানে সংরক্ষণে রয়েছে। তবে কাগজপত্র সঠিক না থাকার কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশন তেঁতুলিয়ার উপকমিশনার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, পণ্যগুলো আটক বা জব্দ কোনটাই করা হয়নি। তবে কিছু কাগজপত্র কম থাকায় শুল্কায়ন বন্ধ ছিল। আমরা কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছি। যথাযথ কাগজ পেলে শুল্কায়ন করা হবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর