রফতানি আয়ে রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গত ডিসেম্বরে দেশের রফতানি আয় ছিল ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার। সেখান থেকে আরও অগ্রগতি হয়েছে এ খাতের। গেল জানুয়ারিতে আয় করেছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। এ আয় একক মাস হিসেবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে এ সুসংবাদের মধ্যেও হতাশার খবর আছে। গত মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি রফতানি আয়ে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে দশমিক ৬৯ শতাংশ কম আয় হয়েছে। রোববার ( ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে তথ্য পাওয়া গেছে।

 

ইপিবির তথ্য বলছে, এর আগে একক মাসে সর্বোচ্চ রফতানি আয় ছিল গত ডিসেম্বরে। গেল জানুয়ারির রফতানি আয় আগের বছরের জানুয়ারি তুলনায় ১১.৪৫ শতাংশ বেশি।

 

গত অর্থবছরে রফতানি হয় হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য, প্রবৃদ্ধি ছিল .৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ আছে হাজার ২০০ কোটি ডলার। অর্থবছরের এখনো ৫ মাস বাকি। এর মধ্যে পণ্য রফতানি হয়েছে হাজার ৩২৬ কোটি ডলারের। আয় গত অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় .৫২ শতাংশ বেশি, কিন্তু চলতি অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে .২৮ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের রফতানি কমেছে। তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে হাজার ৮৩৬ কোটি ডলারের।  এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি হলেও চলতি বছরের ৭ মাসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে .২৩ শতাংশ কম।

 

এ ৭ মাসে পোশাক রফতানির লক্ষ্য ছিল হাজার ২৪ কোটি ডলার।  এর বাইরে কৃষি পণ্যে .৪৪ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে ১৫.৪৮ শতাংশ বেড়েছে রফতানি।

 

অপরদিকে এ ৭ মাসে পাট পাটপণ্যের রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় .৮৫ শতাংশ; চামড়া চামড়া পণ্যের রফতানি প্রায় ১৪ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ৩৪.৩৭ শতাংশ কমেছে। এ রকম আরও বেশ কিছু পণ্য রফতানি কমার  তালিকায় রয়েছে। তবে পোশাকের রফতানির ওপর ভর করে সার্বিক রফতানি ইতিবাচক ধারায় আছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর