রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক নারী রোগীর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মায়ের রিপোর্টের সঠিক তথ্য জানতে চাওয়ায় তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় ‘আর মাইরেন না স্যার, আর মাইরেন না স্যার’ ‘ও মা ও বাপ’ বলে তাদের কাছে কাকুতিমিনতি করলেও ভুক্তভোগীকে ছাড়েননি অভিযুক্তরা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রামেক হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম সুমন পারভেজ। মহানগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি।
এদিকে তাকে মারধরের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিও চিত্রে যাদেরকে মারতে দেখা যায়, তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।
সুমন পারভেজ বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি মাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মায়ের একটি রিপোর্টের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। এ বিষয়ে তারা একেকবার একের রকমের তথ্য দিচ্ছিলেন।
সুমন বলেন, এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তার প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে চিকিৎসকরা আমাকে তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পরে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। তারা যে যেভাবে পেরেছেন সেভাবেই আমাকে মারধর করতেই থাকেন এবং নির্যাতনের পর আমার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়ার জন্য বলেন এবং অকথ্য ভাষা গালাগালি করেন। এ সময় ‘আর মাইরেন না স্যার, আর মাইরেন না স্যার’ ‘ও মা ও বাপ’ বলে তাদের কাছে কাকুতিমিনতিও করেছি। কিন্তু তারপরও তারা আমাকে মেরেছে।
এদিকে ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে পরে হাসপাতালে আনসার সদস্য গিয়ে তাকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাত থেকে রক্ষা করেন। পরে ভুক্তভোগী যুবক বিচারের দাবিতে হাসপাতাল পরিচালকের দ্বারস্থ হন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহাম্মদ জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ শুনেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত বলেও মন্তব্য করেন পরিচালক।
বিডি২৪অনলাইন/মানিক হোসেন/সি/এমকে