নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বরাইল গ্রামের সুমন ও গোলাপি দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ৭ দিন আগে গোলাপিকে বিয়ে করেন সুমন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৯ টার দিকে তারা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন ।
সুমন (৪০) জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বরাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। খাদিজা খাতুন নামে তার প্রথম স্ত্রী রয়েছেন।
সুমনের পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়- খাদিজাকে না জানিয়ে গোপনে গোলাপিকে বিয়ে করেন সুমন। গত মঙ্গলবার খাদিজা তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। এ সুযোগে গোলাপিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমন।
এদিকে বুধবার বিকালে খাদিজা তার বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসে। এরপর সতীনকে ঘরে দেখতে পাওয়ার পর থেকেই ঝগড়া চলছিল পরিবারটিতে। রাতে তারা এক সাথে খাবারও খাই। পরে রাত ৯ টার দিকে সুমন ও গোলাপি গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডা. আবু আনসারি বলেন, তাদের দু‘জনের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিলো। তাদের এ হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করার প্রক্রিয়া করা হলেও রোগীর স্বজনরা অন্যত্র নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে চিকিৎসাধীন দুজনই মারা যায়।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেছেন তারা। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে