দীর্ঘদিন হচ্ছে দ্রব্যমূল্যে নিয়ে অস্বস্তি আর ক্ষোভ বিরাজ করছে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে। বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। দাম বেঁধে দেওয়ার পরেও নির্ধারিত দামে পণ্য কেনাবেচা হয়নি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। এবার বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে জরুরি আইন প্রয়োগ করার কথা বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। আশ্বস্ত করে বলেছেন, আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলার পরও দাম কমেনি- সেটা আর হবে না। এবার একটু আস্থা রাখেন আমাদের ওপর।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তার আগে বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বাংলাক্রাফট) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। দামের বিষয়ে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল হওয়ার কথাও বলেন এ সময়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একাধিক আইন আছে বাজার মনিটরিং করার। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রথমে বাজার মনিটর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কৃষি বিপণন আইন দিয়েও মনিটরিং করা হবে। তিনি জানান, দেশে ১৯৫৬ এর অত্যাবশকীয় পণ্য আইন আছে, সে আইনে করা হবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করে পণ্য সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে, প্রয়োজনে জরুরি আইনে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী টিটু জানান, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমেছে। অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে টনপ্রতি তিন হাজার টাকার জায়গায় এক হাজার টাকা, পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে ছয় হাজারের পরিবর্তে দুই হাজার টাকা টন করা হয়েছে শুল্ক। খেজুরে ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ভোজ্যতেলে কমেছে ১০ শতাংশ। ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে