২ বছরের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি, রোগীদের ভোগান্তি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

২ বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু সেটা না পারায় কাজ শুরুর পর ৫ বছরে একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও শেষ হয়নি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ।

এদিকে কাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা। রোগীর বাড়তি চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে শয্যা সংকটে থাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।  এ কাজ শেষ হতে আর কতদিন লাগবে, সে প্রশ্ন এখন জনমনে।

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পূর্বের ১০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হেল্থ ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের আওতাধীন ‌‌‘মেক কনস্ট্রাকশন‌’

এদিকে পুরোনো জরাজীর্ণ টিন সেটের ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। জরাজীর্ণ শয্যাতেই ভর্তি করা হচ্ছে রোগীদের। শয্যা সংকটের কারণে মেঝতে অবস্থান নিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। এতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই।

নাম প্রকাশে আপত্তি  আছে, হাসপাতালে ভর্তিকৃত এমন কয়েকজন রোগী জানান, পুরাতন ঘরে ভাঙা বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। জরাজীর্ণ ঘরে মশার প্রকোপও বেড়েছে। এতে চিকিৎসা নিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন রোগীরা।

দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তণয় তালুকদার জানান,  একাধিকবার সময় বাড়িয়ে নেয়ার পরও শেষ করতে পারেনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণ কাজ। স্বল্প শয্যা নিয়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনগুলোর কাজটি দ্রুত শেষ হলে মানসম্মত সেবা পাবে উপজেলার হাজারো মানুষ।

 

প্রকল্পটির তত্বাবধায়ক মো. মেহেদী হাসান বলেন,  কাজটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের হলেও করোনাকালীন ছয়মাস কাজ বন্ধ থাকে। এছাড়া হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। তবে আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা তার।

বিষয়ে প্রকল্পটির উপসহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা টুটলী চাকমাকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে এবং এসএমএস করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

বিডি২৪অনলাইন/এ এম ফাহাদ/সি/এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর