পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) তিন দিনব্যাপী সালানা জলসা মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে। আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়াদের সীমানা প্রাচীর ঘেরা নিজস্ব মাঠে এ জলসা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে ।
জলসা বন্ধের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে জলসা ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জলসার শুরুর আগেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা পঞ্চগড়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরির মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ জলসা।
আগামী ২৩ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ জলসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে সময় এগিয়ে ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। জলসায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ হাজার লোকের জনসমাগম হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
ওদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অস্থায়ীভবে অবস্থানের জন্য সদর উপজেলার ২৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঁচদিন পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানা যায়।
পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের কাজ। সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি,আনসার সদস্যসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। ৪ হাজারও বেশি পুলিশ সদস্য, ১৬ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি মোবাইল টিম, ২ প্লাটুন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য,গত বছরে এ জলসা ঘিরে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন নিহত হন। এ ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়। মামলায় ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে