পঞ্চগড়ে ৭ মাসে বিএসএফের গুলিতে ৫ জন নিহত

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে ৭ মাসে ৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন জন। গত মে থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। হতাহতদের একটি বড় অংশ- গবাদি পশু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি এবং সীমান্তবর্তী জমির কৃষক শ্রমিক। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ  তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবির পক্ষ থেকে চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতামুলক সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। মানবধিকার নেতারা বলছেন, বিএসএফ হরহামেশাই বাংলাদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে। সরকারের উচিত সীমান্তে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ জন্য খুব দ্রুত সীমান্ত হত্যা আমলে নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার।

জানা যায়, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, গবাদি পশু মানব পাচারের ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় প্রতি বছর হত্যাকান্ড ঘটছে। এর মধ্যে দেখা যায়, বেশিরভাগই বাংলাদেশি। সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে কৃষি জমিতে কৃষিকাজ কিংবা নদীতটে মৎস্য পাথর আহরণের জন্যও অনেক মানুষকে সীমান্তপথ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন ছোটখাটো এবং গুরুতর আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িত।

বিএসএফের গুলিতে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্তে নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়ার দক্ষিণ কাসিমগঞ্জ আকবর আলীর ছেলে আইনুল হক, খয়খাট পাড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আক্কাশ আলী,দেবনগর ডাঙ্গাপাড়ার আনারুল হকের ছেলে সুজন আলী,ভজনপুর বগুলাহাটি এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে পলাশ হোসেন,বোদা উপজেলার সাকোয়া বকশীগঞ্জ এলাকার আব্দুর জব্বারের ছেলে নুর ইসলাম। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন- আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ভারিয়া পাড়া এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম,তেঁতুলিয়ার পাথর শ্রমিক ফরিদ,বোদা বড়শশী এলাকার হাবিবুর রহমান ছুটু।

আইনজীবি মো. রাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেলানী হত্যার বিচার জোরালোভাবে না চাওয়া, বিচার না পাওয়া এবং সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জোরালোভাবে না করার কারণে বিএসএফ বাংলাদেশ নাগরিক হত্যায় অতি উৎসাহী হয়ে উঠছে।  এমনটা চিন এবং ভারত বডারের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় না বলেও জানান তিনি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর