সরকার বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারি উদ্যোগের কার্যকর প্রভাব অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাবে।  শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্নোত্তরে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে উপস্থাপিত হয় প্রশ্নোত্তর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত ও যুদ্ধকেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির বিরূপ প্রভাবে দেশে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট অনুভূত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি, ভর্তুকি ব্যয়, লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং মুদ্রাবিনিময় হারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের বাজার, পণ্যের আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, টাকাপাচার রোধ, গ্যাস সরবরাহ, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলোতে চলতি বছরে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। জনসাধারণের জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকারের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এর ফলে চলমান সাময়িক সংকট কেটে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকার প্রধান।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে