১৯ প্রজাতির টিউলিপ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দর্জিপাড়ায়, লোকসানের আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দর্জিপাড়া। এ গ্রামে বর্তমানে শোভা পাচ্ছে  লাল, সাদা, কমলা, গোলাপিসহ ১৯ প্রজাতির টিউলিপ। নানান রঙের টিউলিপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দুর-দুরান্ত থেকে পর্যটক আসছেন এ গ্রামে।

কয়েক বছর ধরে এ গ্রামে টিউলিপ ফুল চাষ করা হচ্ছে শীত মৌসুমে। ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে টিউলিপ গ্রাম নামে। বেসরকারি উনয়ন সংস্থা ইকো সোস্যাল ডেভলভমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে এ ফুলের আবাদ করছে।

এদিকে চলতি মৌসুমে টিউলিপ ফুল চাষে লোকসানের আশঙ্কা করেছেন ইএসডিওর। কারণ হিসেবে জানিয়েছে, ডলার সংকটে সময়মত বীজ আনতে নেদারল্যান্ডে এলসি করতে পারেনি ব্যাংক। এ জন্য বীজ বপনে দেরি হওয়ায় ফুল আসতে বিলম্ব হয়েছে। ফলে বাগানে পর্যটক কম। তাছাড়া তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ফুল নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে চাষীদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখছেন তারা।

তারা জানায়, দেশে টিউলিপ ফুলের বীজ উৎপাদন করতে পারলে খরচ কম হবে।  তাছাড়া সঠিক সময়ে রোপন করে পর্যটকসহ বাণিজ্যিকভাবে ফুল বিক্রি করা যাবে। এতে লাভবান হবেন কৃষক।

এদিকে পর্যটকরা মনে করছেন, প্রকল্প এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি বেশি। পাশাপাশি ফুলের দামও চড়া।  

জানা যায়, ১৬ জন উদ্যোক্তা নিয়ে দর্জিপাড়া এলাকায় টিউলিপ ফুল চাষ করা হচ্ছে শীত মৌসুমে।   বছর ৭০ শতক জমিতে ২৫ হাজার বীজ দিয়ে টিউলিপ চাষ করা হয়েছে। লাল, সাদা, কমলা, গোলাপিসহ ১৯ প্রজাতির টিউলিপ আবাদ হয়েছে। বীজ থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

টিউলিপ বাগানে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। প্রতিটি ফুলের দাম ১০০ টাকা। টিকিট আর ফুল বিক্রি করে ব্যয় উত্তোলন করার কথা উদ্যোক্তাদের।

 

টিউলিপ বর্ষজীবি শীত প্রধান দেশের ফুল। শীতকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিরাজ করে। এ কারণে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে এ আবাদে।

ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে জাহাঙ্গীর আলম তার পরিবার নিয়ে তেঁতুলিয়া দেখতে এসেছেন টিউলিপ ফুল বাগান। তিনি  টিকিট মূল্য নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।

উদ্দ্যোক্তা মনিরুজ্জামান অন্তর বলেন, এ বছর দেরিতে টিউলিপ ফুল রোপন করায় ফুল প্রবেশ টিকিট বিক্রি করে লাখ টাকা আসতে পারে বলে মনে করেন।

ইকো সোস্যাল ডেভলভমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি আইনুল ইসলাম জানান, আমরা তৃতীয়বারের মতো নেদারল্যান্ডের রাজকীয় টিউলিপ ফুল চাষ করছি। টিউলিপ ফুল দেখতে পর্যটকের সমাগম ঘটতে শুরু করেছে। আশা করছি, গত দুই বছর মতো এবারও টিউলিপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে পর্যটক। চেষ্টা করছি দেশে বীজ উৎপাদনের। দেশে বীজ উৎপাদন করা গেলে খরচ অনেক কম হবে এবং কৃষকও লাভবান হবেন।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর