লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা সদরের ভাদাই ইউনিয়নের ৬ নং ইউপি সদস্য মহেশ্বর বর্মনকে (৪৮) মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চাঁদা চেয়ে না পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মুরাদ ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী মোস্তাক জামান পিপলু তাকে মারধর করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরের বুড়িরবাজারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে প্রকাশ্যে এ মারপিটের ঘটনায় জড়িতরা এখনো আইনের আওতায় না আসায় ফুঁসে উঠেছেন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২ ইউপি সদস্য।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
ইউপি সদস্য মহেশ্বর বর্মন উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আরাজি দেওডোবা গ্রামের কান্দুরা কান্ত বর্মনের ছেলে। তিনি তার ওয়ার্ড থেকে দুবার মেম্বর নির্বাচিত হয়েছেন।
অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মহেশ্বর বর্মন বুড়িরবাজারে একটি সেলুন থেকে দাড়ি কামিয়ে বের হন। এরপর মোটরসাইকেলে উঠার সময় পিপলু ও মুরাদ তার পথরোধ করে ও মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন। চাবি চাইতে গেলে তারা ইউপি সদস্যের কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তারা মারধর করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা সটকে পড়েন।
কমলাবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, প্রকাশ্যে দিনেদুপুরে স্থানীয় সরকারের একজন প্রতিনিধিকে আটকে চাঁদা দাবি করে মারধর মারা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। দ্রুত সময়ে এ ঘটনার বিহিত না হলে আগামীকাল সব ইউপি সদস্যরা রাজপথে নামবেন।
অভিযুক্ত মোস্তাক জামান পিপলু মোবাইল ফোনে বলে, কোনা কিলঘুষি মারা হয়নি। এটি ভিত্তিহীন। আবু সাঈদ মুরাদ মোবাইল ফোনে বলেন, সংসদ নির্বাচনের সময় ওই ইউপি সদস্যের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনার জের ধরে ঘটনার দিন হালকা ধস্তাধস্তি হয়েছে মাত্র।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/লাজু মিয়া/সি/এমকে