মারাত্মক ঝুঁকিতে গৃহকর্মী শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশে শিশু ও গৃহকর্মী নির্যাতন থামছে না। গৃহকর্মী শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। অথচ বিশ্বের কোথাও শিশুশ্রম গ্রহণযোগ্য নয়। প্রচলিত আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং নীতিমালার যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় গৃহকর্মী শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশে এখনো ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন আইনের যথাযথ প্রয়োগই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে তাদের।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সংলাপে বিষয়টি উঠে এসেছে।

সংলাপে বক্তব্য দেন-মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান . কামাল উদ্দিন আহমেদ, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা পরিচালক কাজী আরফান আশিক, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব খোন্দকার মো. নাজমূল হুদা শামিম, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, এডুকোর ম্যানেজার আফজাল কবির খান, লেবার ফাউন্ডেশনের মিতু খাতুন, এএসডির ফিরোজা আক্তার শম্পা প্রমুখ।

 

সংলাপে বলা হয়, শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। এ করতে না পারলে আমরা সভ্য সমাজের বাসিন্দা কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। কেননা শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কারো আশ্রয় হয়েছে যৌন পল্লীতে। অনেকে আবার নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাই সব ধরণের শিশুশ্রম বন্ধে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সংলাপে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমূল হুদা শামিম বলেন, শিশু শ্রম বন্ধে শ্রম মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের টার্গেট ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। চারটি প্রকল্পের আওতায় লাখ শিশুকে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় এডুকো-বাংলাদেশ যৌথভাবে এ  সংলাপের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন এএসডির কর্মসূচি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান।

সংলাপে জানানো হয়, গৃহকর্মী সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেই খসড়া আইনটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর