দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়। দশ দিন আগে এ দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার সময় বলা হয়- নতুন দর কার্যকর হবে ১ মার্চ। কিন্তু সে ঘোষণার কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। কাগজ-কলমে কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনে আগের দামেই সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে। এনিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তবে বিক্রেতারা জানান, নতুন দরের তেল এখনো বাজারে আসেনি। তাই আগের দরের তেল আগের দামেই বিক্রি করছেন তারা।
দাম কমানোর পর বোতলজাত এক লিটারের সয়াবিনের দাম দাঁড়ায় ১৬৩ টাকায় আর খোলা সয়াবিনের লিটার দাঁড়ায় ১৪৯ টাকায়। কিন্তু শুক্রবার বাজার তথ্য বলছে, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে এ তেল। এতে একদিকে যেমন ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে সরকারি নির্দেশনাকেও।
তেল বিক্রেতাদের মধ্যে একাধিকজন জানান, বোতলজাত সয়াবিনের দাম এখনো ১৭০-৭৫ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন দরের তেল এখনো আসেনি, এলেই দাম কমবে। যে তেল রয়েছে , সেগুলো আগের দামে, বেশি দরে কেনা। বেশি দরে কেনা তেল লসে তো বিক্রি করা যায় না।
ভোক্তারা বিক্রেতাদের এ যুক্তিকে খোঁড়া হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, দাম বাড়ালে তো রাতারাতি দাম বেড়ে যায়। তখন তো বলা হয় না, আগের দামের কথা। পুরানো তেল নতুন দরে বিক্রি হয় কি করে? সবাই তখন দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে। ১০ দিন আগে ঘোষণা দেওয়ার পরও বাজারে নতুন তেল আসেনি, এ দায় কার?
একাধিক ভোক্তা জানান, দোকানিরা তেলের দাম আগের দরেই নিচ্ছেন। ১৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচেছ না। ১ মার্চ থেকে লিটারে ১০ টাকা কমার কথা বলা হলেও সেই চিত্র বাজারে দেখা যাচ্ছে না বলেও জানান তারা।
শুল্ক ছাড় দেওয়ায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেন মিল মালিকরা। ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে টাস্কফোর্স ও জাতীয় কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে