স্বামী থাকতেই আশরাফুলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায় তানজিলা। আর এ সম্পর্ক চলমান থাকতেই মাফিজুলের সঙ্গে দ্বিতীয় পরীক্ষায় সম্পর্ক হয় তানজিলার।
বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে স্বামী হাবিবের সঙ্গে তানজিলার পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এ জের ধরে তানজিলা মাফিজুলকে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে পুর্বপরিকল্পিতভাবে তানজিলা, আশরাফুল ও আল হাবিব মিলে মাফিজুলকে খুন করে, এরপর লাশ নির্মানাধীন মাদ্রাসার মেঝেতে পুতে রাখে।
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরশহরের মাফিজুল হত্যাকান্ডের ২০ মাস পর হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে এসব বিষয় জানতে পারে পুলিশ। মাফিজুল চাঁচকৈড় খলিফা পাড়া মহল্লার আজাদ প্রামানিকের ছেলে। তানজিলা (৩৫) চাঁচকৈড় পুড়ান পাড়ার বাসিন্দা আবু তাহেরের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনায় গত শুক্রবার (১ মার্চ) মাফিজুলের মা মাহিরন বেগম নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় চারজনসহ অজ্ঞাত আরো ক’জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ তানজিলা, তার স্বামী আল্ হাবিব (৪০) ও বাবা আবু তাহের (৫৫) এবং আশরাফুলকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে। আশরাফুল খামার নাচকৈড় মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে একটি হত্যা মামলায় কারাগারে যায় তানজিলা ও তার স্বামী আল্ হাবিব। সে মামলার তানজিলা জামিনে বের হয়ে আশরাফুলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। বেশ ক’বছর পর জামিন বের হন হাবিবও। তানজিলা একটি বেকারিতে শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে মাফিজুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।
এদিকে হঠাৎ মাফিজুলকে পাওয়া না গেলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ওদিকে পারিবারিক কলহে তানজিলা ও হাবিবের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তানজিলা হাবিবের নামে মামলা করলে সে মামলায় জেলহাজতে যায় হাবিব। ঘটনাচক্রে জেলহাজতে মাফিজুলের গ্রামের জনৈক জাকির মুন্সির সাথে আল হাবিবের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেখানে জাকিরের কাছে মাফিজুল হত্যাকান্ডের ঘটনা জানান হাবিব। জাকির জামিনে বের হয়ে মাফিজুলের পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানালে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেল) আখতারুজ্জামান বলেন, এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনর পর লাশ উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিশেষ কিছু জানানো যাচ্ছে না।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে