উদাসীনতায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
০৩ মার্চ ২০২৪

পঞ্চগড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফিলতিতে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজ। এ দিকে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলায় শ্রেণীকক্ষ সংকটে গাদাগাদি করে ক্লাশ করছে ছাত্রীরা। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদানের কার্যক্রম ব্যাহত হচেছ। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয়ে শাখায় ৭৫০ এবং কলেজ শাখায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক বছরেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে ক্লাশ রুমের সংকটে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে। গরমের দিনে প্রচণ্ড গরমে খুবই কষ্ট হয়। তাছাড়া ঝড় বৃষ্টি হলে আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাদের।

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজস্ব বাজেটভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৮০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দে চারতলা ভিতযুক্ত একতলা ভবনের নির্মাণকাজ প্রাঞ্জল টেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে কার্যাদেশ দেয়া হয়।প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় মাস।কিন্তু কেটে গেছে প্রায় বছরের অধিক। এখনো পর্যন্ত ৩০ শতাংশ নির্মাণ কাজও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।যদিও প্রকৌশলী অফিস থেকে জানানো হয়েছে জানুয়ারী ২০২১ সালে কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান,কয়েক বছরেও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরম অনিশ্চতার মধ্য দিয়ে ক্লাস করছি। যার ফলে প্রচণ্ড গরমে খুবই কষ্ট হয়। ঝড় বৃষ্টি হলে আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাদের।

অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হক জানান, কয়েক বছর যাবত বিদ্যালয়ের কাজ চলছে। এখনো কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবি জানান তিনি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর মেহেদী বলেন, প্রথমে আমার নিজের একটু সমস্যা ছিল। পরে রডের দাম গেল বেড়ে যায়। এদিকে ডিসেম্বরে বিল হওয়ার কথা ছিল, অর্থ সংকটে হয়নি। তবে খুব তারাতারি কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু তাহের জানান, কাজ করার জন্য বার বার ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছি কাজটা তারাতারি শেষ করার জন্য। শুনেছি কাঠ বাঁশ সাইটে নিয়ে গেছে। সমস্যা হচ্ছে কিছু কাজ শেষ করেছে, অর্থ সংকটে বিল দিতে পারিনি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর