পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির কথা বেশ পুরানো। এবার নতুন করে পিলে চমকানোর মতো তথ্য সামনে এসেছে বাস খাতে। এ খাতে বছরে ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকার ঘুষ ও চাঁদাবাজি হয়। বিআরটিএ, বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন, দলীয় পরিচয়ের কিছু লোক আর ট্রাফিক পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
বাস ঘিরে এ চাঁদাবাজি ও ঘুষের চিত্র ওঠে এসেছে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকার ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ গবেষণায় সিটি বাস সার্ভিস বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে গবেষণা শুরু হয় গত মে মাসে, শেষ হয় গেল ফেব্রুয়ারি মাসে। গবেষণাকালে ৫১টি বাস টার্মিনাল পর্যবেক্ষণ করা হয়।
টিআইবি বলছে, ৫ খাতে এ ঘুষ ও চাঁদাবাজির মধ্যে সর্বোচ্চ ঘুষ লেনদেন হয় বিআরটিএতে। সেখানে বছরে বাসপ্রতি গড়ে ১৭ হাজার ৬১৯ টাকা ঘুষ লেনদেন হয় বাসের সনদ ইস্যু ও নবায়নের জন্য। এরপর ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের মামলা এড়াতে ৮৭ কোটি ৫৭ লাখ ঘুষ লেনদেন হয়। দলীয় পরিচয়ে বিভিন্নি ব্যক্তি সড়কে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে। এছাড়া সড়কে পার্কিংয়ের জন্য পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক কর্মীর নামে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ, টার্মিনালে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করে মালিক ও শ্রমিক সংগঠন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো ৮০ শতাংশই সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবে পুরো খাতটি জিম্মি হয়ে রয়েছে। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে কেবল বঞ্চিতই নয়, সঙ্গে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
টিআইবির রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, সড়কে চলাচলকারী বাসের ৬০.২ শতাংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন । আর ৯৮.৪ শতাংশ যাত্রী বেসরকারি পরিবহনে যাতায়াত করেন।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে