নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বারোবিশা বামুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আনুমানিক ৫০হাজার টাকা দামের এ গাছ স্থানীয় করাত কলে চেরাইও করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন এ ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি, গাছ কর্তনের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যতিষ চন্দ্র রায় ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুল ইসলাম যোগসাজশে গাছটি কেটেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে গাছটি কাটা হয়। এরপর গোপনে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে ভ্যানযোগে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যায়। বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেলে গাছটি ‘স’ মিলে চেরাই করা হয়। সেখানে অর্ধেক কাঠ বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর বাকি অর্ধেক কাঠ বিদ্যালয়ে ফেরৎ নিয়ে আসা হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যতিশ চন্দ্র রায় জানান, রেজুলেশন করে গাছটি কর্তন করা হয়েছে। বিষয়টি টিও স্যারকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি গাছ বিক্রি করলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের বিষয়ে আমি লিখিত কিংবা মৌখিক কোনভাবেই অবগত নই।
বিডি২৪অনলাইন/রাশিদুল ইসলাম/সি/এমকে