সংবাদ প্রকাশের পর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ছাড়া সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল মালেক তদন্ত করেছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন ডট কম নিউজ পোর্টালে এ নিয়োগ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর জেলা প্রশাসক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শিক্ষা অফিসার বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন ডট কম-কে জানান, তদন্ত শুরু করেছি। যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, নিবন্ধন সনদ অর্জনের আগেই মো. কাওছার আলী নামের এক ব্যক্তিকে বলরামহাট দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কাওছার আলী বোদা উপজেলার বটতলী চেংমারী এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. কাওছার আলীকে ওই প্রতিষ্ঠানে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট। এর এক বছরের মাথায় ২০১১ সালের ১০ জুলাই পদত্যাগ করেন তিনি। একই বছরের ৩১ অক্টোবর তাকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরের বছর ডিসেম্বর থেকে তিনি এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু তার সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ১১ তম ব্যাচের। এ ব্যাচের রেজাল্ট হয়েছে ২০১৫ সালের ৯ মার্চ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাই চাঁদ বর্মন জানান, আমি সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছি। যতটা জানি কাওছার আলী সহকারি শিক্ষক হিসেবে ২০১১ সালে নিয়োগ পেয়েছেন।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে