সরকারি সেই দুই কর্মচারীর ঠিকাদারির ঘটনায় তদন্ত শুরু

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়
০৮ মার্চ ২০২৪

সরকারি কর্মচারী হয়েও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান কাজ করেছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য্য সহকারি জহিরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসের জারিকারক জিয়াউর রহমান। নামসর্বস্ব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ নিয়ে এ কাজ করেন তারা । এ সংক্রান্ত  অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বাংলাদেশ ২৪ অনলাইন ডট কম নিউজ পোর্টালে প্রকাশের পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেনকে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী অফিসার মো.ফজলে রাব্বি। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদন্তের আগেই বলেছেন, অভিযুক্তরা কোন ঠিকাদারি করছে না। নিজের দায়িত্বের জন্য মাঠে যেতে হয়।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান প্রকল্পের সিংহভাগ কাজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারের দেখা মেলে না। কার্য্য সহকারি জারিকারক ঠিকাদারের নামে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছেন। শুধু নাম-পরিচয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবহারের বিনিময়ে ঠিকাদারকে প্রকল্প অনুযায়ী একাধিক কিস্তিতে নির্দিষ্ট কমিশন দেওয়া হয়।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের আওতায় প্রকল্পটিতে ৩৯ টি ঘর নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয় এ উপজেলায়। টি প্যাকেজে টেন্ডার হয়। তার মধ্যে টি প্যাকেজের ঠিকাদার বোদার সিদ্দিকুর রহমান নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সুরমা ট্রেডার্স বোদা, রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্স বোদা,গোলাম ফারুক বোদা টি করে প্যাকেজ পায়। প্রতি ঘরের বরাদ্দ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। সময় বাড়িয়ে নিয়ে এপ্রিল মাসের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ,ইউসুফ আলী,আব্বাস আলী,তবিবর রহমান,সামশুল হক,আইনুল হক,ইউসুফ আলী,সহিদুলসহ অন্তত ১৫ বাড়ি ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা,তার পরিবারের সদস্য,নির্মাণ কাজের মিস্ত্রিরা জানিয়েছেন, জহিরুল-জিয়াউর ঠিকাদার কাজ করছেন। কেউ আসেনি, তারাই আসেন কাজ দেখতে। দেবনগর শান্তিজোত এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক জানান, জহিরুলও  জিয়া দুজনে ঠিকাদার। কাজ করছে হামিদুল মিস্ত্রি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আসাদুজ্জামান রাজিব জানান- অনেক দুর হচ্ছে, এ জন্য জহিরুলসহ আরেকজনের নাম জানি না তাদেরকে দেওয়া হয়েছে কাজটি। বিল করার জন্য একদিন এসে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে তারা।ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমান জানান,রবিউল তেঁতুলিয়া নিয়ে যায় পিআইও অফিসে। একদিন স্বাক্ষর করে নিয়েছে কাজগুলো জিয়া করতেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। অফিসের নির্দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখাশোনার জন্য সাইটে যেতে হয়।জিয়াউর রহমান জানান,আমার শশুর ঠিকাদার, তিনিই কাজ করেন। তবে মাঝে মধ্যে আমার মাধ্যমে শ্রমিকের টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর