নিজের সম্পর্কে মেয়েদের সম্যক ধারণা থাকা জরুরি। আমি যদি অসহায়, দুর্বল হিসেবে সবার সামনে নিজেকে জাহির করি, লোকেও ওই চোখেই দেখবে আমাকে। তখন তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পরিবেশ তৈরি হবে আমাকে ঘিরে। তাই নিজের ভালো লাগা, ইচ্ছা সব আমাকেই দেখতে হবে।
নারী দিবসে এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ঋতুপর্ণা মনে করেন, মেয়েরা অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে সামলাতে পারে। ছেলেরা যে পারে না তা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে মেয়েরা একটু এগিয়ে।
নিজের সম্পর্কে সম্যক ধারনা প্রসঙ্গে ঋতুপর্না আরও বলেন, নিজের ভালো লাগা, ইচ্ছা নিজে না দেখলে কিছুই করা যাবে না। কারও কিচ্ছু এসে-যায় না। সময়ে এক এক করে প্রিয়জন হারিয়ে যাবে। মানুষ আরও বিচ্ছিন্ন হবে। এ নিয়ে সারাক্ষণ মনখারাপ করলে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনব।
নারী দিবসে সমাজ সংসারে নারীদের অবদান তুলে ধরতে গিয়ে নিজের পরিবারের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এ অভিনেত্রী। বলেন, দাদিকে দেখেছি, রান্নাঘর থেকে বাইরের জগৎ– একা হাতে সামলাতে। আমি ওর হাতেই মানুষ। বাড়িতে তখন আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা, ঠাকুমা ঢালাও বিছানা করে এক হাঁড়িতে তাদের যেমন খাওয়াত, তেমনি স্নিকার্স পরে পিঠে ব্যাগ নিয়ে বেড়াতে যেত। অথচ স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও ছিল না তার। আমার মনে হয় মেয়ে হিসেবে এমন সহজাত ক্ষমতা ছিল যে একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব নিতে পারত।…আমার মাও বিয়ের পরে ওই একভাবেই হঠাৎ ২০ জন আত্মীয় চলে এলে, তাদের হাসিমুখে আপ্যায়ন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নিজের ব্যস্ততা সম্পর্কে বলেতে গিয়ে জানান, সংসার আর কাজ দুটোতেই বিশ্বাস করি। ইন্ডাস্ট্রিতেও দীর্ঘ দিন ধরে একা যুদ্ধ করছি। যেমন সকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমার শাশুড়ি হাসপাতালে। তার সব দায়িত্ব আমার। মেয়ের খবর রাখা। ছেলেকে ফোন করা। সংসারের নানা কাজ... সবই চলছে । আমি আমার সবটা দিয়ে কাজ করি।
তিনি জানান, এখন আবেগের কোনো দাম নেই। অথচ আগে আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছা নিয়ে ভাবতে একশো জন হাজির হয়ে যেত। এখন লোকে ফোনে পরামর্শ দিয়ে চলে যাবে। উল্টে বলবে ওর মধ্যে সারাক্ষণ হতাশা, এড়িয়ে যাবে। কোনো মেয়ে যেন নিজেকে করুণার পাত্র তৈরি না করে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে