লালমনিরহাটের আদিতমারীতে জমিজমা ও শহরের বাসা-বাড়ি নিজেদের নামে লিখে না দেওয়ায় সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে পিটিয়েছে তার ছেলে-মেয়েরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই সাবেক কর্মকর্তা ১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- উপজেলার মদনপুর এলাকার সহিদুর রহমান (৭০) ও তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৫৭)। অভিযুক্তরা হলেন- সদর উপজেলার বালাটারী এলাকার বাসিন্দা বাবু আল রশিদের স্ত্রী দৌলতুন নাহার রুমি (৩৯), মাহামুদ হাসান মিম (২৮) ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসি জিসা (২৫), আদিমারী উপজেলার বিসিক এলাকার সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫) ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহের পুত্র সেকেন্দার আলী (৫৭)। হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকার মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আজমিরা রহমান সাথী (৩২), আদিতমারী উপজেলার মদনপুর এলাকার বদিয়ার রহমানের মেয়ে আয়না খাতুন (২৭) ও মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র লিয়াকত আলী (৪০), সদর উপজেলার বালাটারী এলাকার মৃত আখলাক হোসেনের পুত্র বাবু আল রশিদ (৪৫) ও আদিতমারী উপজেলার মদনপুর এলাকার শহিদার রহমান ওরফে ভেলেন এর পুত্র রায়হান উদ্দিন (২৫)। এদের মধ্যে কেউ সহিদুর রহমান ছেলে, কেউ মেয়ে, পুত্র বধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সহিদুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রায় ১ মাস পুর্বে হাফিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার নামের সম্পত্তি ও সদর উপজেলার পৌর এলাকার বালাটারীতে থাকা বাসা-বাড়ী নিজেদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি দেন অভিযুক্তরা ।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫ মার্চ সন্ধ্যায় ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধু, জামাতা ও তাদের ভাড়াটিয়া লোকরা মিলে সহিদুর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাফিজা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় সহিদুর রহমান তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়। স্ত্রীকে রক্ষার চেষ্টা করলে সহিদুর রহমানকেও মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে সহিদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ৩টি ফাঁকা স্টাম্পে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পাশাপাশি জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ভুক্তভোগীদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অশ্রুসিক্ত নয়নে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সহিদুর রহমান ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি আইনের মাধ্যমে এ ঘটনার বিচার চাই।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/লাজু মিয়া/সি/এমকে