ছবি- সংগৃহিত
ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুর। রমজান মাসে এ পণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। এ সুযোগে এবার খেজুর বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। সব ধরণের খেজুরই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে ভোক্তাদের মধ্যে। কেবল এ বছরেই দাম বেড়েছে তা নয়, পরিসংখ্যান বলছে- গেল পাঁচ বছরে খেজুরের দাম বেড়েছে সাতগুণ।
পাঁচ বছর আগে যেসব খেজুর প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের কেজি এখন ৭০০-৭৫০ টাকা। বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুরের (জাহেদি) কেজিও ৩০০ টাকা। অথচ গত বছর এ জাতের খেজুর ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খেজুরের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাড়তি ভ্যাটকে দুষছেন খেজুর ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত রোজায় পাইকারি দরে যে খেজুরের কেজি ছিল ২০০ টাকা, এবার একই খেজুরের ওপরে ২০৮ টাকা শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ফলে পাইকারি দরে খেজুরের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। শুধু ভ্যাট বাড়ায় এ বছরে চার থেকে পাঁচগুণ দাম বেড়েছে। ভ্যাট কমিয়ে দিলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
ভোক্তাদের অনেকেই বলছেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। তাই রোজদাররা সবসময় চেষ্টা করে ইফতারে খেজুর রাখতে। এ সুযোগে বেশি মুনাফার লোভে একটা সিন্ডিকেট খেজুরের দাম যাচ্ছেতাই বাড়াচ্ছে। গতবারের তুলনায় এ বছর খেজুরের দাম তিন থেকে চারগুণ বেশি বেড়েছে বলে জানান তারা।
নিজেদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে ভোক্তাদের একটা অংশ জানান, সাধারণ মানুষ একেবারে নিরুপায়। দাম বাড়লেও কিনতে হবে, কমলেও কিনতে হবে তাদের। শুধু খেজুরের দাম নয়, কমবেশি সব জিনিসের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ দেশে জাত ও আকার ভেদে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জাহেদি ও বস্তায় আসা খেজুর। কারণ এর দাম কম। বর্তমানে প্রতি কেজি জাহেদি খেজুর ২৮০-৩০০ টাকা, দাবাস ৪০০-৪৫০ টাকা, মাবরুম ৬০০-৬৫০, মারিয়ম খেজুর ৭০০-৯০০ টাকা, মেডজুল ১৩০০-১৪০০ টাকা, মানভেদে আজোয়া ১২০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে