দেশে বাড়ছে বায়ুদুষণ, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বায়ুর অবস্থা খুব খারাপ। এতে হুমকির মধ্যে পড়েছে মানবস্বাস্থ্য। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বায়ুদুষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ জন্য ১২ দফার নির্দেশনা সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এ বিভাগ থেকে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা, পৌর বর্জ্য, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস উন্মুক্তভাবে পোড়ানো যাবে না। জৈব আবর্জনা, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস না পুড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে গর্তের মধ্যে সংরক্ষণ করে জৈব সার তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আওতায় পরিচালিত নির্মাণ কাজ চলাকালে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানো, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে পরিবহন ও মজুত করতে হবে। দরকার হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধূলিদূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত বেষ্টনী ব্যবহার করতে হবে।
রাস্তায় পার্শ্ববর্তী ড্রেন বা নর্দমার ময়লা-বর্জ্য উত্তোলন করে উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। এগুলো দ্রুত নির্দিষ্ট স্থানে পরিবহন করতে হবে। রাস্তার উন্নয়ন কাজ যথাসম্ভব রাতে করতে হবে। তাছাড়া নির্ধারিত জায়গা যথাসম্ভব বেষ্টিত রেখে দৈনিক একাধিকবার নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে।
একই রাস্তা যেন বারবার খোড়াখুড়ি করতে না হয়, সেজন্য পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ রাস্তায় বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস স্থাপন বা মেরামতে বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। সার্ভিস ফ্যাসিলিটিস স্থাপন বা মেরামত শেষে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা কার্পেটিং করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
উন্মুক্ত স্থানে আর্বজনা ফেলে না রাখা এবং বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য পোড়ানো রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনকালে যথাযথ নির্দেশনাবলী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং নিয়মিত পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের অবকাঠামো স্থাপনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ছাড়পত্রের শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে। রাস্তার অনাবৃত/ক্ষতিগ্রস্ত/ভাঙা অংশ, ফুটপাত এবং সড়কদ্বীপ দ্রুত মেরামত করতে। রাস্তায় জমে থাকা ধূলাবালি নিয়মিতভাবে ভ্যাকুয়াম সুইপিং ট্রাকের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে রাস্তার পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্ত অনাবৃত স্থানসমূহ কংক্রিট কভার অথবা ঘাস লাগিয়ে আবৃত করতে হবে।
বিভিন্ন মার্কেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পার্টের ধূলাবালি ও ময়লা-আর্বজনা ঝাড়ু দিয়ে সড়কে ফেলার কার্যক্রম প্রতিরোধ এবং কমিউনিটিভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা টিম গঠন ও তাদের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে