দরপতনের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রায় প্রতিদিনই দাম কমছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, সঙ্গে কমছে মূল্যসূচক। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গেছে- প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবারও (১৮ মার্চ) আগের কয়েকদিনের মতো বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের যেমন দাম কমেছে, তেমনি কমছে সবকটি মূল্যসূচক। সিএসইতে ২৩ কার্যদিবসের মধ্যে ২০ কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসেই লেনদেন হয়। প্রতি দিবসেই দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহেই ৪৯ হাজার কোটি টাকার  বেশি কমে যায় ডিএসইর বাজার মূলধন। এনিয়ে টানা চার সপ্তাহে বাজার মূলধন ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি কমে গেছে।

এদিকে ডিএসইর সোমবারের কার্যদিবস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনটা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মধ্য দিয়েই শুরু হয়। কিন্ত  দিনের লেনদেন শেষ হয় বড় পতন দিয়ে।

লেনদেন শুরুর পর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। ফলে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু  বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে বড়ধরনের ধস নামে শেয়ারবাজারে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় প্রধান সূচক ৭৮ পয়েন্ট কমে যায়। শেষদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মাত্রা কমায় কিছুটা স্থিতিশীল হয় সূচকের পতন।

শেয়ার লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বাড়ে মাত্র ৩৪টির, বিপরীতে কমেছে ৩৩০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে, বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪২ পয়েন্টে, আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান মূল্যসূচকটি এদিনে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ মে ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ হাজার ৮৮৪ পয়েন্ট ছিল। এরপর আর এত নিচে নামেনি সূচকটি ।

সোমবার ডিএসইতে ৪৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ  ছিল ৫১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেন কমেছে।

অন্যদিকে, সিএসইতে শেয়ার লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৫৭টির এবং  অপরিবর্তিত থাকে ২৪টির। লেনদেন হয়ে মোট ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনের লেনদেন ছিল ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ১৬১ পয়েন্ট  কমেছে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ।

বিডি২৪অনলাইন/ ই/এমকে