রমজান মাসের শুরু থেকেই একশ’-এর কাছাকাছি টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। একটা তরমুজের দাম কমপক্ষে দুইশ’ টাকা বা তার বেশি হওয়ায় অধিকাংশ সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে থেকে যায় এ ফল।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরের আগেও বিক্রি হচ্ছিল ৭০ টাকা কেজি। এ সময় বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকারের অভিযানিক দল বাজারের তরমুজ বিক্রেতাদের কাছে যাওয়ার পর মুহূর্তেই কেজিতে ২০ টাকা কমে যায় দাম।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহর শহরের পুরাতন বাজারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ভোক্তা অধিকারের এক কর্মকর্তা তরমুজ বিক্রেতাদের কাছে দাম জানতে চান। বিক্রেতারা জানান, ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বেশি দরে বিক্রি করায় তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে বিক্রেতারা ওই কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে নায্যমূল্য ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর থেকেই ৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু হয় বাজারে।
জানা গেছে, এদিনে পুরাতন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন পাবনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি। পুরাতন বাজারের দুই দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এক দোকানে নিম্নমানের খেজুর ও মেয়াদোত্তীর্ণ পন্য পাওয়ায় এবং অপর দোকানে মূল্য তালিকা না টাঙানোর কারণে এ জরিমানা করা হয়। দোকান দুটি হচ্ছে- দাস এন্ড সন্স (১৫ হাজার টাকা) ও দত্ত স্টোর (৫ হাজার টাকা)।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনী সাংবাদিকদের জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে