বোরো জমিতে সেচ বন্ধ রেখে ধান নষ্ট করা হয়েছে। অপরিপক্ক ভুট্টা কেটে ফেলা হয়েছে। এখনও কিছু জমিতে থরে থরে শোভা পাচ্ছে ভুট্টার কাদি, পাশে অপরিপক্ক রসুনের আবাদও। এমন অন্তত ২০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে চলছে পুকুর খননের অপচেষ্টা।

এদিকে জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় ফসলি জমিতে দাঁড়িয়ে সেই পুকুর খননের অপচেষ্টার প্রতিবাদে  শুক্রবার (২২ মার্চ) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন নারীসহ শ’ শ’ এলাকাবাসী।

নাটোরের গুরুদাসপুরের বিয়াঘাট কুমারখালী উত্তর পাড়া গ্রামের কুমারখালী মৌজায় এ পুকুর খননের অপচেষ্টা চলছে।

স্থানীয় প্রভাবশালী সহদোর আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মমিন তাদের পৌত্রিক তিন ফসলি জমির উঠতি ফসল নষ্ট করে  উদ্যোগ নিয়েছেন।

এদিকে মানববন্ধনে অংশ নেয়া এলাকাবাসী জানান, কুমারখালী উত্তরপাড়া মাঠে অন্তত ২ হাজার বিঘা ফসলি জমি আছে। সেখানে ধান, পাট, ভুট্টা, রসুনসহ সব ধরনের রবি শষ্যসহ তিনটি ফসলের আবাদ হয়। প্রভাবশালী দুইভাই পুকুর খনন করলে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভও করেছেন শঙ্কিত কৃষকরা। এলাকাবাসীর পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জমসেদ আলী,মুঞ্জুর আলম,সোলায়মান আলী,শাজাহান আলী,আব্দুল কাদের প্রমুখ।

ওদিকে আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মমিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের নিদের্শনা ও এলাকার কৃষকদের ক্ষতির কথা ভেবে তারা পুকুর খনন করছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার জানান, কৃষকদের মানববন্ধনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে নজরে আসলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বোর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই ভাইকে ফসলী জমিতে পুকুর খননের আইনগত শাস্তির বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে