ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবে হামাসের কব্জায় জিম্মিদের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে প্রস্তাবটি পাসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পাস হওয়া প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ব্যত্যয় হলে সেটা হবে ক্ষমার অযোগ্য। খবর বিবিসি, সিএনএন
খবরে বলা হয়েছে- সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি ভোটের জন্য উত্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পরিষদের সব সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকলেও প্রস্তাবটির ভেটো দেয়নি ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যত প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে—প্রায় প্রত্যেকটিতেই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ভেটোর কারণেই এ প্রস্তাব এতোদিন পাস হচ্ছিল না।
কিন্ত সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান ইস্যূতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। সোমবারের প্রস্তাবে ইসরায়েলের সবচেয়ে পুরনো ও পরিক্ষীত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ভেটো না দেওয়ায় তার প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
গত ৭ অক্টোবরের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ৯ দিন পর ১৬ অক্টোবর প্রথম নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি তোলে রাশিয়া। সেই প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পরে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য দেশের উদ্যোগে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনা হয় পরিষদে। কিন্তু প্রতিবারই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এর মধ্যে গেল নভেম্বরের শেষ দিকে তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রচেষ্টায় ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। শর্ত মানতে গিয়ে এ বিরতিকালে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে ছেড়ে দেয় হামাস। বিপরীতে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫০ জনকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল।
হামাসের হাতে এখনও ১৩২ জন জিম্মি অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ত্রাণ ও খাদ্যের অভাবে মৃত্যু বাড়ছে গাজায়। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব তোলা হয়।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে