এবার দেশের অন্তত ৪১৬টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের আগে তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতা ও বোনাস পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে পাওনা হাতে না পেলে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। এ কারণে তারা ফুঁসে উঠলে কারখানা এলাকায় স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এদিকে সরকারের তরফ থেকে মালিকদের বলা হয়েছে, ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে। সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে ছুটি দিতে হবে। তাছাড়া ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাই এমনকি কারাখানা লে-অফ ঘোষণা করতে পারবে না।
ঈদের আগে এসব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে সম্ভাব্য সঙ্কটের বিষয়টি উঠে এসেছে শিল্প পুলিশের এক প্রতিবেদনে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৪১৬টি পোশাক কারখানার মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ১৭১টি, বিকেএমইএর ৭১টি, বিটিএমএর ২৯টি, বেপজার ১৩টি রয়েছে। এর বাইরে আছে ১৩২টি কারখানা। পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ না থাকায় আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে এসব কারখানা।
শুধু যে এবারই এমন সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে তা নয়, বরং প্রতি বছর দুই ঈদের আগে পোশাক কারখানার বহু শ্রমিকের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকে। ঈদের আগে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি হুটহাট বন্ধ ঘোষণা করা হয় অনেক কারখানা। এ নিয়ে প্রায় প্রতি বছরেই সড়কে নামতে দেখা গেছে পোশাকশ্রমিকদের।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ক্রয়াদেশ কমে গেছে। পাশাপাশি গ্যাস সংকটসহ অভ্যন্তরীণ নানা কারণে চাপে আছে দেশের পোশাকশিল্প। ফলে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মার্চ মাস পার হওয়ার পথে, অথচ এখনো অনেক কারখানা তাদের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি। এ অবস্থায় ঈদ বোনাস অনেকটাই মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে তাদের জন্য।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেবে না বলে আশা করছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা বা ভাঙচুর চাই না আমরা।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে