শেরপুরের নকলা উপজেলায় ঘরে নিজের স্ত্রী-সন্তান রেখে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে শেখ শামীম (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতা। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নকলা থানায় অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। এদিকে এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে, পাশাপাশি তার স্ত্রী ও সন্তানরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে।
শেখ শামীম ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাইতুল্লাহর ছেলে। সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
গত ১৭ মার্চ (রবিবার) সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রীকে নিয়ে তিনি উধাও হন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সুদ কারবারির সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা আছে। আর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক ও ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি, মা রাস্তার মাটি কাটার কাজ করেন।
এদিকে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা-মা। তার মা জানান, আমার মেয়েকে শামীম জোরপূর্বক বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। আজ প্রায় ১১ দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের খোঁজ পায়নি।
৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি- স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে শামীম। এ কাজটি খুবই ঘৃণিত। যেহেতু ওই ছাত্রী নাবালিকা, তাই আমিও এর উপযুক্ত বিচার চাই।
কৈইয়াকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম চুন্নু বলেন, আমি সব সময় বাল্যবিয়ের বিপক্ষে। শামীম যে কাজ করছে, তার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হোক।
নকলা থানার ওসি মো. কাদের মিয়া বলেন, ছাত্রীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ রেজাউল হাসান/সি/এমকে