নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ৯০ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরণ কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, সেটা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। একজন মানুষ অনেক কিছুই না জেনে কী ভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হন, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন— এসব ঘিরেই আবর্তিত ছিল তার কাজ। কখনও অর্থনীতির কোর্স না করলেও বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
‘প্রসপেক্ট থিয়োরি’ (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি। বিশ্বের বিখ্যাত বহু মনস্তত্ত্ববিদ এবং অর্থনীতিবিদের অনুপ্রেরণা ছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে ১৯৯৩ সাল থেকে কাজ করছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। ড্যানি একজন জ্ঞানী, প্রিন্সটনের একজন তারকা, উজ্জ্বল মেধাবী মানুষ এবং একজন মহান সহকর্মী ও বন্ধু ছিলেন মন্তব্য করে সেখানকার অধ্যাপক এলদার শফির বলেছেন, তিনি আসার পর সামাজিক বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্র আর একরকম ছিল না। তাকে খুব মিস করব।
১৯৩৪ সালে ফিলিস্তিন বর্তমান ইসরায়েলের তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন কাহনেম্যান। ফ্রান্সে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তাই জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত সেখানে কাটিয়েছেন। ইসরায়েল সৃষ্টির আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।
ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৫৪ সালে মনস্তত্ত্ববিদ্যায় স্নাতক শেষ করেন কাহনেম্যান। পরে যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করার সময় তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করেন। সেখান থেকে অধ্যাপক হিসেবে হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন। ২০১১ সালে তার লেখা বিখ্যাত বই ‘থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো’ প্রকাশ হয়।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে