নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ নিজেই। সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ দাবি করার পাশাপাশি এ ঘটনায় তার কলেজেরই চার শিক্ষককে দুষছেন তিনি। বলেছেন, ওই চার শিক্ষকের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার সাংবাদিকদের কাছে ঘুষ দাবির মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যক্ষ ড. একরামুল হক। সেখানে তিনি জানান, বেতন-ভাতার চাহিদা দ্রুত ছাড় করাতে তাকে উৎকোচের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই চার শিক্ষক।
অধ্যক্ষ একরামুল হক জানান, সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজটির শিক্ষক মো. শাহীন আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, মো. শামসুল আলম ও মো. আনোয়ার হোসেন কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়মিত উপস্থিতির বিষয়ে তাদের অব্যহতভাবে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। এ কারণে তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন অভিযুক্তরা।
অধ্যক্ষ জানান, সরকারি গেজেটের পরে ওই চার শিক্ষকের বেতন-ভাতার চাহিদাপত্র গত বছরই পাঠানো হয়। সে সময় বরাদ্দ না থাকায় বেতন-ভাতা পাননি তারা। অথচ চাহিদাপত্র পাঠানোর জন্য অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখান তারা। রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে তাকে হেয় করতে বিষোদগার করেন ওই চার শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত প্রভাষক মো. শাহীন আলম, শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ ও আনোয়ার হোসেন বলেন, গেজেটের পর বেতন-ভাতার চাহিদার জন্য তারা অধ্যক্ষ একরামুল হককে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সময় ক্ষেপণ করছিলেন। বেতন না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
বিডি২৪অনলাইন/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে