দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সোয়াপ উপকরণের আওতায় ডলার ধার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ডলার ধার করা শুরুর পর থেকে রিজার্ভে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে ডলার ধার করলে বাড়ছে রিজার্ভ। আবার বড় কোনো দেনা শোধ বা ধার করা ডলার ব্যাংকে ফেরত দিলে রিজার্ভ কমছে। এভাবে এক মাসে তিন দফা ওঠানামা করছে ডলার।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার ধার করায় বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫১ কোটি ডলার বেড়েছে। সেই সঙ্গে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত সপ্তাহে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ বিলিয়ন ডলার।
গত ২৮ মার্চের হিসাবে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার। দিনের শুরুতে বৃহস্পতিবার সেটা ৫১ কোটি ডলার বেড়েছে, দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে। গ্রস রিজার্ভ বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার। ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলার থেকে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারে ঠেকেছে। গ্রস রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন তহবিল। এ তহবিল থেকে বিনিয়োগ তুলে আনায় গ্রস রিজার্ভ ২ কোটি ডলার কম বেড়েছে।
রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে গঠিত তহবিল আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভে দেখানো যাবে না। তাই এখন নিট রিজার্ভের হিসাব করা হচ্ছে। গত মাসে দুই দফায় রিজার্ভের বড় ধরনের ওঠানামা দেখা গেছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দেনা ১২৯ কোটি ডলার শোধ করা করায় রিজার্ভ কমে যায়। ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে যায় ১৯ বিলিয়নের ঘরে। এ অবস্থায় বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ধার করে আবার রিজার্ভ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু গত সপ্তাহে ধারের ডলার ফেরত দেওয়ায় রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। চলতি মাসের শুরুতে রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। ঈদ ঘিরে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে সুবাতাস থাকায় ঈদের আগে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে আইএমএফ’র শর্ত অনুযায়ী, মার্চের মধ্যে নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ডলার রাখার শর্ত ছিল। কিন্তু তার মধ্যেও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় নিট রিজার্ভ ধারণের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর প্রস্তাব করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে