বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পানিবাহিত প্রাণঘাতী রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। খবর এএফপি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত দু’তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার অনাকাঙ্খিত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ অবস্থায় যে বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, তার উদ্দেশ্য কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা। পাশাপাশি নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।
গত দুই তিন বছরে কলোরা রোগীর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ডব্লিউএইচও। তাদের হিসাবে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন বেড়ে ২০২৩ সালে দাঁড়ায় ৭ লাখ। ইতোমধ্যে চলতি বছরেও এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, তাদের নেওয়া কর্মসূচির আওতায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছানো হবে। প্রাথমিক ভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ ১৪টি দেশে পাঠানো হচ্ছে এ সরঞ্জাম।
এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচওর অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল কাজ করছে।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে