সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করেছে ইরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে নজিরবিহীন এ হামলা শুরু করে তেহরান।
হামলা শুরুর পর থেকে তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে শহরগুলোতে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বোমা হামলার শেল্টারের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইরানের উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ধ্বংসের জন্য ইসরায়েলি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জর্ডানের বাহিনীও কাজ করছে। খবর সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
তেহরান বলেছে, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি এখন ‘সমাপ্ত বলে মনে করা যেতে পারে’।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধিকৃত গোলান মালভূমি, নেভাটিম, ডিমোনা এবং ইলাতের বাসিন্দাদের প্রতিরক্ষামূলক স্থানের কাছাকাছি অবস্থান করতে হবে।
ওদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের ড্রোন হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছেন ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরানের হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। কাউন্সিল ইরানের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সব উপায় ব্যবহার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে