কয়েকদিন ধরে সারা দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমের তীব্রতায় দিন-রাতের প্রায় পুরোটা সময় ছোট-বড় সবারই হাঁসফাঁস অবস্থা। ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধ ও শিশুদের। অবস্থা সম্পন্ন ঘরের মানুষের অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কিন্তু হিট স্টোকের ঝুঁকির মধ্যেও ‘কাঠ ফাটা’ রোদে কাজ করছেন ‘দিন আনি দিন খাই’অবস্থার মানুষেরা। গরমের কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচেছন চিকৎসা সেবা সংশ্লিষ্টরা।
আপাতত বৃষ্টির কোনো ম্যাসেজ পাওয়া যায়নি আবহাওযা অফিস থেকে। বরং বলা হয়েছে বয়ে যাওয়া এ দাবদাহ আরও কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় বেশি তাপ অনুভূতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বেশি।
গরমের তীব্রতায় গ্রামাঞ্চলে অনেকে একটু শীতল হতে নদী বা পুকুরে নেমে পড়েছেন। কেউ বা পান করছেন ঠান্ডা শরবত, কিনছেন হাতপাখা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচেছ। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ ১৯ এপ্রিল পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে