ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ২য়টিতেও হার এড়াতে পারল না সফরকারী বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে ২৭২ রানের বড় তার্গেট দিলেও মাত্র ৫ উইকেট সে লক্ষে পৌঁছে যায় কিউইরা। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে টাইগাররা। তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে এ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের তোপে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভয়ঙ্কর মার্টিন গাপটিলকে নিজের বলেই ক্যাচ ধরে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২০ রান করেন এই কিউই ওপেনার।
এরপরই দ্রুত জোড়া সফলতা পানন টাইগারর স্পিনার মেহেদি হাসান। উইল ইয়ংকে (১) বোল্ড করেন মেহেদি হাসান। আর নিজের আগের ওভারে ওপেনার হেনরি নিকোলসকেও সরাসরি বোল্ড করেন তরুণ এই স্পিনার। ১৩ রানে এই বাঁহাতিকে ফেরান তিনি।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিউইরা। অধিনায়ক টম ল্যাথামকে নিয়ে ১১৩ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে। তামিম ইকবালের থ্রোতে রান আউটের শিকার হন কনওয়ে। ভাঙে প্রতিরোধের এ জুটি। তারআগে ৯৩ বলে ৭টি চারে ৭২ রান করেন হন কনওয়ে।
এরপর বাংলাদেশ ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে আবারও জিমি নিশামকে সঙ্গে জুটি গড়েন ল্যাথাম। এ জুটি থেকে আসে ৭৬ রান। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম। ১০৮ বলে ১০টি চারে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিশাম ব্যক্তিগত ৩০ রানে মুস্তাফিজের শিকার হন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদি ও মুস্তাফিজুর দু'টি করে উইকেট পান।