তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজ করছে তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট হিট স্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতায় এ বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে নিজের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বাবা-মায়েদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সংস্থাটি বলছে, শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। তপ্ত দুপুর ও বিকালের কয়েক ঘণ্টা বাড়ির বাইরে যেন শিশুরা না যায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তাছাড়া হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরাতে হবে তাদের। আর সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে।

এদিকে শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  যদিও চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন বিদ্যামান থাকলে ছুটি বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশিতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি দেখা দিলে  ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের  ব্যবস্থা আছে- এমন একটি ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে ভুক্তভোগীকে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে বা গায়ে ঠান্ডা পানি দিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিতে হবে। হিট স্ট্রেসের উপসর্গ তীব্র হলে যেমন- কোনোকিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হবে।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে