শেরপুরের নকলায় তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র গরমে নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। পানি পানের স্বল্প সময়ের মধ্যে গলা শুকিয়ে যেন কাঠ হয়ে যাচ্ছে। লাগছে ঘন ঘন পানির পিপাসা। এ অবস্থায় আখের রসের চাহিদা বেড়েছে গোটা উপজেলায়। তবে খোলাভাবে ও যত্রতত্র বিক্রি হওয়া এ রসে ধুলি-কনা পড়ে অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
দেখা গেছে, গরম পড়ার পর থেকেই শহরের আনাচে-কানাচে ও ফুটপাতগুলোতে আখের রসের ভাসমান দোকান বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রখর রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ মানুষ তৃষ্ণা ও ক্লান্তি মেটাতে এ রস পান করছেন। বিশেষ করে পথচারী, ভ্যান রিকশা, অটোচালকদের এ দোকানে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। ছুটে আসছে নানা বয়সী ও পেশার মানুষ।
আখের রস বিক্রেতা মো. লিমন মিয়া জানান, শেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আখ কিনে নিয়ে আসেন তিনি। সেগুলো কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে মেশিনে দিয়ে রস বের করেন। আকৃতি অনুযায়ী প্রতি গ্লাস আখের রস বিক্রি হয় ১০ থেকে ২০ টাকা।
তিনি আরও জানান, সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। ১৫০-২০০ গ্লাস আখের রস বিক্রি হয়। এতে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা আখের রস বিক্রি হয় তার।
পরিবারের জন্য আখের রস নিতে আসা হাসান মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, আখের রস আমার এবং পরিবারের লোকজনের খুবই পছন্দ। তাই বোতলে করে আমি ১ লিটার আখের রস নিয়ে যাচ্ছি।
একজন রিকশা চালক বলেন, সারাদিন রিকশা চালাই। এ গরমে একটু বিশ্রাম নিয়ে আখের রস খাচ্ছি। এটা অনেক মজার এবং অল্পতেই পিপাসা মেটে।
বিডি২৪অনলাইন/রেজাউল হাসান/সি/এমকে