বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)’র হিসাবে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে মাছ ও পোল্ট্রি মাংসের দাম। এদিকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ফলে সংসার খরচের যোগান দিতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারেও।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। তার মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধু সুদহার বাড়ানো বা এর মতো পৃথক পদক্ষেপ নিলে হবে না। সঙ্গে শুল্ক কমানোসহ সমন্বিতভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে হবে।
বিনায়ক সেন বলেন, দেশের সব জেলা থেকে তথ্য নিয়ে একটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হয়েছে। হিসাবে ১৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে খাদ্যে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক জানান, গত এক বছরে মাছের দাম ২০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। দেশের পোলট্রি খাদ্যের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। গত দুই বছরে আমদানির এ খাবারের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এটা মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে পোলট্রি খাদ্যে শুল্ক কমানো হলে মাছ-মুরগির মতো পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক হবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমবে বলে মনে করেন তিনি। পোল্ট্রি খাতে শুল্ক কমিয়ে অন্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিনায়ক সেন।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ হয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে