সামনে জুন মাসের মাঝামাঝিতে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এ ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছেন খামারিরা। এবার গতবারের তুলনায় বেশি দামে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। কারণ হিসেবে বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের খরচ ও পশুর চিকিৎসা খরচসহ পরিচালন ব্যয়। এসব কারণে গতবারের তুলনায় ২০ শতাংশের মতো দাম বাড়বে কোরবানির পশুর।
খামারিদের হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে গোখাদ্যের দাম ৭-১০ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজিতে। এর মধ্যে গমের ভুসিতে ৮ টাকা, বুটের খোসায় ১০ টাকা, চালের খুদে ৭ টাকা ও দানাদার ফিডে ৮-৯ টাকা দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কথা জানিয়েছেন গোখাদ্যের ব্যবসায়ীরাও।
এদিকে গেল মাসের শেষ দিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, কোরবানিযোগ্য পশুর দাম নিয়ে কোনো গোষ্ঠী যাতে কারসাজি করতে না পারে, সেদিকে সরকার লক্ষ্য রাখবে। পশু যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এবার ঈদুল আজহা ঘিরে দেশে কোনো গরু বা অন্য কোনো পশু আমদানির পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে কেউ চোখ ফাঁকি দিয়ে আনতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু লালন-পালন করছেন খামারিরা। দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট।
মন্ত্রী আরও জানান, গত বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে