গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে শহরটি ছেড়ে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও ১ লাখ মানুষ।
পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসে রাফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এসব ছবিতে রাফার খালি ও জনশূন্য রাস্তাগুলো দেখা যাচ্ছে। যদিও গত ৬ মে ইসরায়েলি অভিযান শুরুর আগে এ রাস্তাগুলো তাঁবুসহ মানুষের অস্থায়ী আশ্রয়ে পরিপূর্ণ ছিল। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত অক্টোবরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধার পর ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ট্যাংকগুলো রাফার আরও ভেতরে হামলা শুরু করেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, সেখানে মানুষ ক্রমাগত ক্লান্তি, ক্ষুধা এবং ভয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাফার পূর্বে ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
অন্যদিকে উত্তর গাজায় ইসরায়েলের নতুন অভিযানে আরও এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস গ্রুপের স্থানীয় ব্যাটালিয়নগুলো ফের সংগঠিত হয়েছে সেখানে।
রাফাতে অবস্থানরত ইউএনআরডব্লিউএ’র মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, শহরে এখনও যেসব পরিবার অবস্থান করছেন তারা যতদূর সম্ভব আরও পশ্চিমে চলে গেছেন। তারা ভূমধ্যসাগরের উপকূলের সৈকতে তাঁবু স্থাপন করেছেন। শহরের ভেতরের পরিস্থিতি যেন ভূতের শহর।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে