বিছানায় পড়েছিল মেয়ের লাশ, ঘর থেকে পালিয়েছে জামাই

রাজশাহী প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৪



 

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সুরভী খাতুন (২৮) নামের এক নারীর লাশ তার বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় দাগ রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান তার শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ  ধারণা করছে, ওই নারীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) রাতে গোদাগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

সুরভী খাতুন সিঙ্গাপুর প্রবাসী তরিকুল ইসলামের মেয়ে। মোস্তাফিজুর রহমান মেডিকেল মোড়ের শামসুদ্দীন ইসলাম ধলু মাস্টারের ছেলে। প্রেমের সম্পর্কে ২০২১ সালের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিয়ে হয়।

 

জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই মোস্তাফিজুর রহমান এক রকম বেকার ছিলেন। এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ রয়েছে। সুরভী খাতুন তার বাড়িতে থাকায় বুধবার (১৫মে) রাতে সেখানে যান মোস্তাফিজুর রহমান। সেখানে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।  দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় মোস্তাফিজুর রহমানের শাশুড়িও এ সময় তাকে বকাঝকা করেন। পরে তারা ঘুমিয়ে পড়েন।

 

এদিকে পরদিন সকালে সুরভির মা তাদের ডাকতে যান। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখেন- মেয়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। জামাই মোস্তাফিজুর রহমান ঘরে নেই। পরে তড়িঘড়ি করে সুরভীকে গোদাগাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

 

সহকারি পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) সোহেল রানা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুরভীর গলায় হালকা দাগ বুঝা গেছে। মনে হচ্ছে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ভোর ৫ টার দিকে স্থানীয় একজন মোস্তাফিজকে রাস্তায় দেখেছে। তাতে মনে হয়েছে সে অপরাধ করেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

 

বিডি২৪অনলাইন/মানিক হোসেন/সি/এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর