২০১৯ সালের দিকে ভারতে তীর্থ শেষে নিজ এলাকা নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা পাইটকা পাড়ায় ফিরে আসেন রঞ্জিত চন্দ্র রায়। এরপর ঘর-সংসারও ত্যাগ করেন। বসবাস শুরু করেছেন দেওনাই নদীর তীরে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট কথিত গুহায়। সেই সঙ্গে মুখে কুলুপ এটেছেন। প্রয়োজনে যোগাযোগের দরকার হলে সেটা হয় লিখিত আকারে। হঠাৎ করে তার আচরণে এমন পরিবর্তনে বিস্মিত হয়েছেন এলাকাবাসী।
মহাদেবের আরাধনায় ১২ বছর মৌনব্রত ও ধ্যান পালন করতেই এমন পন্থা রঞ্জিত রায় বেছে নিয়েছেন। এলাকাবাসী ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
দিলিপ চন্দ্র নামে একজন স্থানীয় জানান, ৩ বছর পূর্বে তিনি সাধনা শুরু করেছেন। এভাবে চলবে এক টানা ১২ বছর। পরিবার পরিজন ছেড়ে একাকী সাধনায় আছেন তিনি। সাধনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কারো সাথে কোনো কথা বলেননি তিনি। নিজের প্রয়োজনের কথাগুলো প্রকাশ করেন কাগজ কলমে লিখে।
রঞ্জিত সাধুর ছেলে দিপু রায় জানান, শুরুতে আতপ চালের ভাত খেলেও এখন কলা, ভুট্টা ও চালের গুঁড়া, শাকসবজি আর ফলমূল খাদ্য তালিকায় রেখেছেন রঞ্জিত রায়। স্থানীয় ভক্ত আর পরিবারই তার আহার যোগান দেয়।
এদিকে নদী ভাঙনের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে রঞ্জিতের বর্তমান আবাসস্থল। তার এ সাধনা সফলভাবে সম্পন্ন হোক এমনটাই কামনা করেছেন তার স্বজনেরা।
বিডি২৪অনলাইন/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে