কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনের ঘটনায় আশ্রয়স্থল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের আশ্রয় ও চিকিৎসার জন্য মানবিক প্রয়োজন আরও বাড়াতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানে কাজ করা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন আর আনুমানিক ৪০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আইওএম বলছে, এই দুর্ঘটনায় আইওম’র সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এই প্রতিষ্ঠানে গত বছর প্রায় ৫৫ হাজার মানুষকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির কারণে ক্যাম্পে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চিকিৎসাসেবা নতুন করে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। আগুনে হাজার হাজার মানুষের আশ্রয়স্থল, প্রয়োজনীয় সেবাকেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত সম্পদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা।
আইওএম-এর মহাপরিচালক অ্যান্টোনিও ভিটোরিনো এক প্রেসবার্তায় জানিয়েছেন, প্রয়োজন জরুরি সহায়তা, এর মধ্যে আশ্রয় সরঞ্জামাদি এবং খাবার পানির পাশাপাশি জরুরি জিনিসপত্র যেমন মাস্ক, সাবান, কম্বল, সোলার লাইট, মশারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই জরুরি প্রয়োজনের সহায়তা কার্যক্রমে আরও ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। তাদের পুনর্বাসনের জন্য শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার, দাতাগোষ্ঠী, সহযোগী সংস্থা এবং মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয় ফিরিয়ে দিতে আইওএম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমকে